পরকীয়া খাইলো ধরা
শাহজাহান সিরাজ
যখন স্বামী বাড়ী ছিল
বউ এর ছিল অনেক লাজ।।
স্বামী এখন প্রবাসেতে
কার জন্য গো এতো সাজ।
মাথার ঘাম পায়ে ফেলে
স্বামী পাঠায় টাকা।
সোনা গয়না কিনিতে বউ
বয়ফ্রেন্ড নিয়ে ঢাকা।।
শ্বশুর মানেনা শ্বাশুরী মানেনা
মানেনা তার স্বামী।
কখন যায় আর কখন আসে
প্রেমিক যে অনেক দামী।
ছেলে মেয়ের লেখা পড়ার
নাই খোঁজ খবর।
মাতাল প্রেমের যৌন যোয়ারে
নিজেই মহা মাতাব্বর।।
ঘরে আছে ননদিনী
চোঁখ কান তার খোলা।
মোবাইল আর ফেসবুকেতে
ভাবী কেন আত্ত্বভোলা?
ভাবী গেলেন গোসল করতে
মোবাইল রেখে ঘরে।
মোবাইলে কল বাজিলো
ননদিনী রিসিভ করে।।
বলছে প্রেমিক তোমার আমার
আজ সাড়া রাত।
তোমায় ছাড়া মিটে না গো
আমার মনের স্বাদ।।
মিষ্টি মধুর কথার ছলে,
হলো আলাপন।
ননদী বলেছে আচ্ছা আমি
জেনেছি সব গোপন।
রাত নিশিতে পরকিয়া পুরুষ
ঢুকলো ভাবীর ঘরে।
বাহিরেতে দরজায় তালা
ননদীনি পরকিয়াকে ধরে।
লেখক– শাহজাহান সিরাজ
গ্রামীন ব্যাংকের অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা
অন্তবর্তী সরকার নিয়ে যত প্রশ্ন
কে বলে গো তুমি কালা
আমার চোঁখে লাগছে বালা
কে বলে গো তুমি কালা।
কালা আমার গলার মালা
লোকে তাহা জানে না।।
কোন পাগলে কইছে তুমি
মানুষ ভালা না।।
তুমি আমার মন যমুনার
প্রথম প্রেমের আঙ্গিনা।
ভালবাসার প্রেম দরিয়ায়
তুমি যে শেষ ঠিকানা।
কোন পাগলে কইছে তুমি
মানুষ ভালা না।।
দেখছি কতো সুন্দর মুখ
তার কাছে নাই কোন সুখ।
তোমার চান্দ মুখ দেখিয়া
কত আশেক দেওয়ানা।।
কোন পাগলে কইছে তুমি
মানুষ বেশী ভালা না।।
মন্দ্ব বলুক পাড়ার লোকে
আমি মুগ্ধ তোমায় দেখে।
তোমার মাঝে পাই যে খুঁজে
ভালবাসার ঠিকানা।।
কোন পাগলে কইছে তুমি
মানুষ ভালা না।।
তোমার আমার মনের আশা
মিলন হবে ভালবাসায়।
ফাঁসির মঞ্চে ভালবাসা
যাইতে আমি দিব না।।
কোন পাগলে কইছে তুমি
মানুষ ভালা না।।
লেখক– শাহজাহান সিরাজ
গ্রামীন ব্যাংকের অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা
আপনার শিশু মোবাইলের প্রতি আসক্ত হচ্ছে নাতো?
ইতি
চেয়ে ছিলাম হিরু হতে
হিরু হতে পারি নাই।
চেয়ে ছিলাম দাদা হতে
হয়ে গেলাম নানা ভাই।।
দাদা মরছে ডেলিভারী রোগে,
দাদী মরছে শোকে।
আমার ও ভাই একই দশা,
ব্যাথা উঠেছে বুকে।।
নাতি কয় ও নানা ভাই
এই রোগ হইলো কেমনে।
নাতিন কয় নানার দাদার
হইছিলো রোগ যেমনে।।
আমি বলি নাতি নাতিন,
করিস্ না তোরা ভয়!
মাঝে মাঝে নানার পেটে,
এমন ই অসুখ হয়।।
অসুখের নাম ডেলিভারী,
এ রোগ সবার হয় না।
এই ডা একটা প্রবাদ বাক্য,
আজ কাল কেউ কয় না।।
নানা ভাই ভাল নাইরে
নাতি নাতনি কৈ?
আয়রে তোরা খরা শীতে
করতে হৈ চৈ।।
নানা ভাই বড়ই কিপটা
খায় না শেয়ার লাইক,
ভাল লাগলে একটু খানি
কমেন্টস করে যাইস্।।
ইস্ আজ কি যে শীত
নাই তো কাঁথা কম্বল,
কেমন করে রাত কাটাবো
ঘরে নাই রাতের সম্ভল।।
নাতী কাঁন্দে নানার কাছে!
বিয়া করুম নানা।
নাতিন কয় শীত চলে যাক্!
করো মানা নানা।।
আমার যেন মহা বিপদ
কার-বা কথা রাখি।
বিয়ে শাদির কথাবার্তা,
রেখে দিলাম বাকী।।
বিয়ের বয়স হইলে তোদের
ডেকে আনবো কাজী
কে কে আছো বলো নানু,
আমার কথায় রাজী।।
নানার মনে নাই যে সুখ,
তাই তো বিয়ে মানা।
নানার খবর নিবে যারা,
আমি তাদের নানা।।
নাতি নাতনি তোমরা সবায়
আমার সালাম নিও।
গোপন সূত্রে বিয়া করলে
আমারে দাওয়াত দিও।
ইতি,
তোমাদের নানা ভাই।
লেখক– শাহজাহান সিরাজ
গ্রামীন ব্যাংকের অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা